০৯:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব নিয়ে যা বললেন ইসি মাছউদ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ইউএনও’র প্রশংসনীয় উদ্যোগ অফিসে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণে সিএনজি উল্টে শিক্ষক নিহত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে আশ্রয়ন প্রকল্পে মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লায় চমক দেখালেন মনিরুল হক চৌধুরী কুমিল্লা নামে বিভাগ চেয়ে এবার কাতার প্রবাসীদের স্মারকলিপি প্রদান ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ অভিনেতার পৌর মেয়রসহ আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার আহত না হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’, বাতিল হলো ১২৮ জনের গেজেট নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণ আসার আশঙ্কা প্রধান উপদেষ্টার

নাঙ্গলকোটে সেতু আছে সড়ক নেই ৩২ লাখ টাকা জলে যেতে বসেছে

  • তারিখ : ১০:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১
  • / 793

মো: ওমর ফারুক,নাঙ্গলকোট:

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগজ্ঞ ইউপির অষ্টগ্রাম, তফবন,চাঁন্দপুর, মোহরবাগ গ্রামের খালের উপর একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ওই সেতুর পাশে কোন সড়ক নেই। সেতু নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে- ৩২ লাখ টাকারও বেশি। কিন্তু সেতু নির্মান করার আগে সাধারন মানুষ বা যানবাহন চলাচল করার জন্য রাস্তার প্রয়োজন।

এতে কোন সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানায় কোন রাস্তা নেই। রয়েছে, হাজার হাজার একর কৃষি জমি। সরেজমিন গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে আরও জানা গেছে- বক্সগজ্ঞ ইউপির দক্ষিন পূর্বদিকে অস্থিত চাঁন্দপুর গ্রামের সাথে ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলার সিন্দুরপার ইউপির মোহরবাগ গ্রামের সংযোগ রয়েছে। সেতুর দুই পাশে রয়েছে বোরো ধানের জমি।

ব্যাক্তিগত লাভবান হওয়ার জন্য সেতু নির্মান করা হয় । গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সেতু/কালভাট,নির্মান প্রকল্পের অধিনে এই সেতুর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে- ৩২ লাখ ৩৯ হাজার ৬শ, ৩৮ টাকা। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট। ২০১৯ সালের ৭ মার্চ সেতুটির উদ্বোদন দেখানো হয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন- রাস্তা করার আগে কি ভাবে সেতু নির্মান করা হয়েছে। তা ছাড়াও সরকারি বা ব্যাক্তিগত কোন রাস্তা নেই এখানে। সরকারের প্রায় ৩২ লাখ টাকার সেতু এখন জলে যেতে বসেছে।

দ্রুত রাস্তার দাবীও জানান এলাকাবাসী। স্থানীয় তাজুল ইসলাম, বিকাশ চঁন্দ আচার্ষ,মো; আক্তার হোসেন বলেন-এখানে সেতু হওয়ায় প্রায় ২০ হাজার লোকের অনেক উপকার হয়েছে। রাস্তা না থাকায় সেতুটির পুরো সুফল পাচ্ছিনা। সেতুর পাশে অনেকের কৃষি জমি রয়েছে। সরকারী বা ব্যক্তিগত কোন রাস্তা নাই। বক্সগজ্ঞ ইউপির যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সেলিম শিপন ঠিকাদার হিসেবে সেতু নির্মানের কাজ করেন।

এ বিষয়ে গত সোমবার ঠিকাদার সেলিম শিপন বলেন- এলাকাবাসীর উপকার স্বার্থে সেতুটি নির্মান করা হয়েছে। রাস্তার আগে কি ভাবে সেতু নির্মান করা হয়েছে- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন- তার আগে সেতুটির জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ওই জায়গা দিয়ে রাস্তা নির্মান করা হবে।

শেয়ার করুন

নাঙ্গলকোটে সেতু আছে সড়ক নেই ৩২ লাখ টাকা জলে যেতে বসেছে

তারিখ : ১০:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১

মো: ওমর ফারুক,নাঙ্গলকোট:

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগজ্ঞ ইউপির অষ্টগ্রাম, তফবন,চাঁন্দপুর, মোহরবাগ গ্রামের খালের উপর একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ওই সেতুর পাশে কোন সড়ক নেই। সেতু নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে- ৩২ লাখ টাকারও বেশি। কিন্তু সেতু নির্মান করার আগে সাধারন মানুষ বা যানবাহন চলাচল করার জন্য রাস্তার প্রয়োজন।

এতে কোন সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানায় কোন রাস্তা নেই। রয়েছে, হাজার হাজার একর কৃষি জমি। সরেজমিন গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে আরও জানা গেছে- বক্সগজ্ঞ ইউপির দক্ষিন পূর্বদিকে অস্থিত চাঁন্দপুর গ্রামের সাথে ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলার সিন্দুরপার ইউপির মোহরবাগ গ্রামের সংযোগ রয়েছে। সেতুর দুই পাশে রয়েছে বোরো ধানের জমি।

ব্যাক্তিগত লাভবান হওয়ার জন্য সেতু নির্মান করা হয় । গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সেতু/কালভাট,নির্মান প্রকল্পের অধিনে এই সেতুর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে- ৩২ লাখ ৩৯ হাজার ৬শ, ৩৮ টাকা। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট। ২০১৯ সালের ৭ মার্চ সেতুটির উদ্বোদন দেখানো হয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন- রাস্তা করার আগে কি ভাবে সেতু নির্মান করা হয়েছে। তা ছাড়াও সরকারি বা ব্যাক্তিগত কোন রাস্তা নেই এখানে। সরকারের প্রায় ৩২ লাখ টাকার সেতু এখন জলে যেতে বসেছে।

দ্রুত রাস্তার দাবীও জানান এলাকাবাসী। স্থানীয় তাজুল ইসলাম, বিকাশ চঁন্দ আচার্ষ,মো; আক্তার হোসেন বলেন-এখানে সেতু হওয়ায় প্রায় ২০ হাজার লোকের অনেক উপকার হয়েছে। রাস্তা না থাকায় সেতুটির পুরো সুফল পাচ্ছিনা। সেতুর পাশে অনেকের কৃষি জমি রয়েছে। সরকারী বা ব্যক্তিগত কোন রাস্তা নাই। বক্সগজ্ঞ ইউপির যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সেলিম শিপন ঠিকাদার হিসেবে সেতু নির্মানের কাজ করেন।

এ বিষয়ে গত সোমবার ঠিকাদার সেলিম শিপন বলেন- এলাকাবাসীর উপকার স্বার্থে সেতুটি নির্মান করা হয়েছে। রাস্তার আগে কি ভাবে সেতু নির্মান করা হয়েছে- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন- তার আগে সেতুটির জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ওই জায়গা দিয়ে রাস্তা নির্মান করা হবে।